শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

প্রকাশিত হলো ছোট কাগজ ‘সংকাশ’ এর নতুন সংখ্যা


মামুন ম. আজিজের সম্পাদনায় অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হলো সংকাশ’ ছোট কাগজের প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা।
 সংকাশ নামের লেখক সংগঠনটি আলোর মুখ দেখেছিল ২০১১ সালের শেষের দিকে। শুরু থেকেই সংগঠনটির একটি নিয়মিত ছোট কাগজ প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল । গত জুন ২০১২ এ সংগঠনটির নিজ নামেই ছোট কাগজ সংকাশ এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ।
সাধারণ বই সাইজে ১২০ পৃষ্টার সংকাশ ২য় সংখ্যার নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন মেঘ অদিতি।

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

“অনুভবে শব্দের মিছিল”




“অনুভবে শব্দের মিছিল”
--------জাকিয়া জেসমিন
              ১৯ জুন ২০১২

জানালার ধার ঘেঁষে শব্দের মিছিল ঘররর...ঘররর...ঘররর ঘররর
চলছে একটানা সেলাই মেশিন, পা মেশিনে সুর বেজে চলে একটানা বিরামহীন,
নতুন দালান উঠোবার প্রস্তুতিতে তার পাশে চলে পুরনোকে ভেঙে গুড়ো করার প্রস্তুতি, গাছের পাতার দোলা ঝিরি ঝিরি বাতাসে, জানালার ধার ঘেঁষে বসা বাজারে মেছুয়া গন্ধে তোলে কাকের হুটোপুটি, খরিদ্দারের চটির শব্দ পায়ে!

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

“নীলে হারায়”





নীলে হারায়


।।এক।।
নীল, তুমি এমন কেন? তুমি কি একটুও আমাকে বোঝ না? তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য, তোমার হাতে হাত রেখে পথ চলার জন্য, তোমার লোমশ বুকে মুখ ঘষবার জন্য আমার মনটা আকুলি বিকুলি করে! তোমার সেই প্রশ্নটা "বিয়ে করছো না কেন?" উত্তরটা কি জানো না তুমি নাকি হেঁয়ালি করো? বিয়ে তো করতেই চাই। চাই একটি সাজানো গোছানো সংসার। কিন্তু, বিয়ের প্রস্তাবগুলো এলে মনে হয়, না না, আমার এখন বিয়ে করার অবসর নেই। আমার আরেকটু সময় দরকার। আরেকটু!

শনিবার, ১৬ জুন, ২০১২

প্রকাশিত হলো ছোট কাগজ-’সংকাশ’ এর প্রথম সংখ্যা


তথ্য প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের সামাজিক নেটওয়ার্ককে ভিত্তি করে গত বছর (২০১১) এর শেষের দিকে আবির্ভাব ঘটে ‘সংকাশ’ সংগঠনটির। ‘সংকাশ’ একটি মননশীল লেখক সংগঠন।
শুরুর দিকে অনলাইন সাহিত্য প্রতিযোগিতার সাইট, গল্পকবিতা.কম (http://www.golpokobita.com) এর একুশজন মননশীল লেখক/কবির সম্মিলিত সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হয় সংগঠনটির। প্রাথমিক ঐ একুশজন লেখকের একুশটি মৌলিক এবং বৈচিত্র্যময় গল্প নিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ তে ভাষাচিত্র প্রকাশনী হতে প্রকাশিত হয় সংগঠনটির প্রথম গল্প সংকলন ‘নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা’। লেখক হিসেবে একুশজনের পরিচিতি তেমন বিস্তৃত নয় তথাপি সংকলনটি পাঠক মহলে যতসামান্য ঢেউয়ের আলোড়ন তুলেছিল।

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

সত্যগোপন ও সম্পর্কের পরিণতি!




.
: “কেমন আছ?”
: “হ্যাঁ এইতো আছি!”...দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলে উঠে, “যেরকম থাকি তোমার খবর কি?”
: “আমি বাড়ি এসেছি তোমার সমস্যা কি মিটেছে?”
: “...নাহ! তো ডাক্তার দেখাতেই চায় না বলে আগেও নাকি দেখিয়েছে
: “আগে মানে কবে?”

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

বলা হয়নি

চার রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে

কতবার ভেবেছি,

বলেছি আর কোনদিন আসবো না।

তবু দ্বি-প্রহর কাটতেই মনকে প্রতারিত করি।

রোদ পালানো মেঘের নীচে দাড়িয়ে

মন ভাঙ্গা যন্ত্রণা গুলোর

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

রীপূ



এক কোণে একটু অন্ধকার মত। আশেপাশে কেউ নেই। দুটি শরীর খুব কাছাকাছি। যতটা কাছে হলে দুজনের নিঃশ্বাসের উষ্ণতা অনুভবে আসে।

- উম!!

- হুমম...

- সরো...

- উ...হু!!

- ফাজিল!

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২

একদিন স্বপ্নের দিন



কথাতো প্রায় প্রতিদিনই হয়। হচ্ছে সেই এক বছর, কিংবা তার বেশিও হতে পারে। কিন্তু দেখা হয়নি। একবার অনেক জোরাজুরির পর নিজের ফটো পাঠিয়েছিল ইমেইলে। তাও শুধু এক পলক দেখেই ডিলিট করে দেয়ার শর্তে!

মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল প্রায় এক বছর? না না , এক বছর নাহ! আমার নেপাল শিক্ষা সফরের দিনও সকালে ফোন করেছিল। তবে আর যোগাযোগ না করার শর্ত জুড়েছিল!!

ও এক পশলা বৃষ্টির মত আমার কাছে আসে যায়। আসে! যায়! চলে যায়। আবার ফিরে ফিরে আসে! এ এক অন্য রকম!

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

“অশরীরী!”


ফ্যানের তীব্র ঘটঘট শব্দ ছাপিয়ে গভীর রাতের কিছু পাখির ডাকের শব্দ ভেসে আসছে। আশেপাশের বাড়িগুলো হতে অন্যান্য দিন নানা লোকের কথা ভেসে আসে। আজকে তাও নেই। ঘর অন্ধকার। দরজার পর্দার ফাঁক দিয়ে পাশের ঘর হতে আসা ঝাপসা একটু আলো দেখা যায় ডিম লাইটের।

কে যেন জানালায় ধাক্কাচ্ছে। ক্যাঁচ! ক্যাঁচ! ধুপ! ধুপ! চার ভাগ করা পর্দার ফাঁকে ফাঁকে ভৌতিক ছায়া!

শীত বিদায় নিবো নিবো করছে। লেপ এখনও বাক্সে তোলা হয়নি। কোলবালিশের মত জড়ানো লেপের ভাজে শুয়ে থাকা শিমলা। আশেপাশের ভৌতিক শব্দকে তুচ্ছে করার প্রাণান্ত চেষ্টায় নিমজ্জিত। জোর করে চোখ বুঝে রয়েছে।

মিছিল

পেয়ারার ডালে পা ঝুলিয়ে কে বসে আছে তা অনুমান করতে খুব একটা কষ্ট হলো না। বিচ্ছুটা সারাদিন ঐ পেয়ারার ডালে বসে গরুর জাবর কাটার মত পেয়ারা চিবাবে।

- এই নীলু, নিরো কোথায়রে? পেয়ারার ডাল ধরে একটু ঝুকে নীলু আমার দিকে তাকায়
- জানি না, দেখো গিয়ে কার উপকার করতে গেছে নিজের খেয়ে নীলুর কথা শুনলে মাঝে মাঝে গা জ্বলে।
এতটুকুন একটা মেয়ে সে কিনা বড়দের মত কথা বলে। নিরোটাকে খুব দরকার। কোথায় যে এখন খুজি! এলাকায় আছে, না অন্য এলাকায় আছে- কে জানে!
নিরো আমাদের বিচ্ছুদলের মধ্যে একেবারেই আলাদা। বাবা-মা নেই। নিজের মত করে বড় হয়েছে বলেই কিনা জানি না, তবে ওর মনটা বড় নরম। যেখানেই কোন মানুষের বিপদ-আপদের কথা শুনবে, ও ছুটে যাবে।

বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২

সাধ একটি পারলৌকিক ডিম

দুপুরটা রঙচটা। বিবর্ণ। পাশের বাড়ির জানালায় ফটোকপি হয়ে ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে ফ্যাকাসে রোদ। তাতে মিশেছে এক চিলতে সোঁদাগন্ধ। উৎস জানা নেই। বারান্দার টবে পাতাবাহারের গাছ ঘুমে ক্লান্ত। ধোঁয়া উঠছে সাফিদের টিনের চূড়া ভেদ করে। নাকে ঢুকছে মুগ ডালের গন্ধ। আহ্! সাথে একটু বোম্বে মরিচ হলে মন্দ হতোনা।

সাধ একটি পারলৌকিক ডিম

মাঝে মাঝে অন্তত,সময় ডিঙিয়ে বনবাসে যেতে হয়
আমার এসব হয়না কিছুই
জলদুপুরে এক আঁজলা পানিতে ডুবিয়ে নাক
বেহুঁশ কাটাই রিক্ত প্রহর।

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

নিষিদ্ধ উপাখ্যান

সাবেক পর্ণ-অভিনেত্রী মার্লি জেন তার বিগত অভিশপ্ত জীবনের কিছু কথা এক ইন্টারভিউ তে উল্লেখ করেছেন। মার্লি ২০০৬-২০১০ পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি পর্নোগ্রাফি ছবিতে কাজ করেছে। সে নিজেও একসময় একটা পর্নো এজেন্সী চালিয়েছে। বর্তমানে তিনি এই নিষিদ্ধ জগতের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে তৎপর। তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন, পিঙ্ক-ক্রস ফাউন্ডেশনের কর্ণধার, সাবেক পর্নো-অভিনেত্রী শেলী লুবেন।

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১২

কষ্টের দস্যিপনা

যখন তুমি পাশে নেই, বুকের মাঝে শূন্যতার প্রতিধ্বনি
অনেক বলতে না পারা কথা, অনেক অসমাপ্ত কথা
দাপিয়ে বেড়ায় বুকের এখানে সেখানে…
তুমি দেখবে হয়তো অনেক কষ্ট পৌরাণিক যুগ পেড়িয়ে গেছে
হয়তো আমার বিঘে দশেক আয়তনে্র মনে

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

লোডশেডিংয়ের রাতে

** purona ekti lekha. jodi notun lekha dite na pari hoyto etakei...


মাদুরের নিচ থেকে হেঁটে আসে 'বিরক্তিরা'
                                 লোডশেডিংয়ের রাতে।
গুমোট অন্ধকারে চলে ভ্রু কুঁচকে, আচম্‌কা হোঁচট!
উল্টে পড়ে পুরনো আতরের নীল শিশিতে।
                                    হঠাৎ দুলুনিতে-   
নড়েচড়ে উঠে শিশির ভেতর ছোট্র 'আশ্বাস'
কিছুটা প্রশ্রয় পেয়ে নিঃশ্বাসে এসে লাগে
                          লোডশেডিংয়ের রাতে...

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১২

আমার শৈশব


আকাশ জুড়ে এলো ঐ
কালো বরণ দেয়া-
কালবৈশাখী এলো ঐ
বেঁধে রাখো খেয়া।

পান্তা ভাত



//এক//

-আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে কেমন যেন অস্বাভাবিক আচরণ করে। আমি বুঝতে পারি না। কোনমতে কথাগুলা বললো ইমন।

-কেমন আচরণ? বিস্তারিত বলুন। গম্ভীর ভাবে বললেন সাইক্রিয়াট্রিস্ট ডঃ রওশন আরা।

ইমন মাথা নীচু করলো লজ্জায়। কিভাবে বলবে বুঝতে পারছে না। আজকে ছুটি নিয়ে সোজা অফিস থেকে চলে এসেছে। আপয়েন্টমেন্ট আগে থেকেই নেয়া ছিল। পুষ্প এখনও কিছু জানে না।

-কি হল বলুন? চুপ করে থাকলে আমি বুঝবো কি করে?

-ইয়ে মানে, আমাদের বিয়ে হয়েছে ৫ মাস হলো। এখনো আমি আমার স্ত্রীর ... বলে ইমন চুপ করে গেল।

-আপনাদের বিয়ে কিভাবে হয়েছে? পারিবারিক ভাবে?

-আমরা ক্লাসমেট ছিলাম। নিজেরা পছন্দ করেছি। পরে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয়।

-আপনাদের মধ্যে ফিজিকাল রিলেশন হয় নাই এখনো, এটাই তো বুঝাতে চাইছেন তাই না? কাগজের উপরে কেস হিস্ট্রি লিখতে লিখতে জিজ্ঞাসা করলেন সাইক্রিয়াট্রিস্ট।

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

সংঘবদ্ধ লেখকশক্তি ও সমসাময়িকতা

সংঘবদ্ধ লেখকশক্তি ও সমসাময়িকতা

সমসাময়িকতা থেকে একটু পিছিয়ে থাকলে খুব একটা ক্ষতি নেই। বরং পিছিয়ে পড়া মানুষরা অবক্ষয়টা টের পায় আগে ভাগে। প্রতিটি পরিবর্তন কিংবা এগিয়ে যাওয়ার ধাপগুলো তারা তৃতীয় কোণ থেকে দেখতে পায়। এক দৃষ্টিতে তাদেরকে সমাজ পরিবর্তনের ‘ওয়াচ ডগ’ বলা যায়।

সমসাময়িক (contemporary) মানুষরা সময়ের স্রোতে ভেসে চলেন। তারা হাওয়ার পক্ষে পাল তোলেন। পাল তোলার অবশ্য এটাই নিয়ম। হাওযার বিপক্ষে পাল তুললে হয় পাল ছিড়বে, নতুবা ইচ্ছার বিপরীত পথে যাত্রা হবে। যাই হোক, সমসাময়িক আধুনিক মানুষরা খুব একটা সৃস্টিশীল হন না, কারণ তারা নবসৃষ্টির ভোক্তামাত্র, কিংবা অনেক ক্ষেত্রে প্রণোদনা।……

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

‘সংকাশ’ এর প্রথম প্রয়াস-‘নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা’

‘সংকাশ’ এর যাত্রা শুরু হয়ছে সবে মাত্র । প্রথম প্রয়াস হিসেবে  বই মেলা ২০১২ তে “নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা” নামে একটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী ছোটগল্প সংকলন প্রকাশ করেছে  ‘সংকাশ’।


শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

প্রকাশিত হলো ছোট কাগজ ‘সংকাশ’ এর নতুন সংখ্যা


মামুন ম. আজিজের সম্পাদনায় অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হলো সংকাশ’ ছোট কাগজের প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা।
 সংকাশ নামের লেখক সংগঠনটি আলোর মুখ দেখেছিল ২০১১ সালের শেষের দিকে। শুরু থেকেই সংগঠনটির একটি নিয়মিত ছোট কাগজ প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল । গত জুন ২০১২ এ সংগঠনটির নিজ নামেই ছোট কাগজ সংকাশ এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ।
সাধারণ বই সাইজে ১২০ পৃষ্টার সংকাশ ২য় সংখ্যার নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন মেঘ অদিতি।

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

“অনুভবে শব্দের মিছিল”




“অনুভবে শব্দের মিছিল”
--------জাকিয়া জেসমিন
              ১৯ জুন ২০১২

জানালার ধার ঘেঁষে শব্দের মিছিল ঘররর...ঘররর...ঘররর ঘররর
চলছে একটানা সেলাই মেশিন, পা মেশিনে সুর বেজে চলে একটানা বিরামহীন,
নতুন দালান উঠোবার প্রস্তুতিতে তার পাশে চলে পুরনোকে ভেঙে গুড়ো করার প্রস্তুতি, গাছের পাতার দোলা ঝিরি ঝিরি বাতাসে, জানালার ধার ঘেঁষে বসা বাজারে মেছুয়া গন্ধে তোলে কাকের হুটোপুটি, খরিদ্দারের চটির শব্দ পায়ে!

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

“নীলে হারায়”





নীলে হারায়


।।এক।।
নীল, তুমি এমন কেন? তুমি কি একটুও আমাকে বোঝ না? তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য, তোমার হাতে হাত রেখে পথ চলার জন্য, তোমার লোমশ বুকে মুখ ঘষবার জন্য আমার মনটা আকুলি বিকুলি করে! তোমার সেই প্রশ্নটা "বিয়ে করছো না কেন?" উত্তরটা কি জানো না তুমি নাকি হেঁয়ালি করো? বিয়ে তো করতেই চাই। চাই একটি সাজানো গোছানো সংসার। কিন্তু, বিয়ের প্রস্তাবগুলো এলে মনে হয়, না না, আমার এখন বিয়ে করার অবসর নেই। আমার আরেকটু সময় দরকার। আরেকটু!

শনিবার, ১৬ জুন, ২০১২

প্রকাশিত হলো ছোট কাগজ-’সংকাশ’ এর প্রথম সংখ্যা


তথ্য প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের সামাজিক নেটওয়ার্ককে ভিত্তি করে গত বছর (২০১১) এর শেষের দিকে আবির্ভাব ঘটে ‘সংকাশ’ সংগঠনটির। ‘সংকাশ’ একটি মননশীল লেখক সংগঠন।
শুরুর দিকে অনলাইন সাহিত্য প্রতিযোগিতার সাইট, গল্পকবিতা.কম (http://www.golpokobita.com) এর একুশজন মননশীল লেখক/কবির সম্মিলিত সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হয় সংগঠনটির। প্রাথমিক ঐ একুশজন লেখকের একুশটি মৌলিক এবং বৈচিত্র্যময় গল্প নিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ তে ভাষাচিত্র প্রকাশনী হতে প্রকাশিত হয় সংগঠনটির প্রথম গল্প সংকলন ‘নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা’। লেখক হিসেবে একুশজনের পরিচিতি তেমন বিস্তৃত নয় তথাপি সংকলনটি পাঠক মহলে যতসামান্য ঢেউয়ের আলোড়ন তুলেছিল।

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

সত্যগোপন ও সম্পর্কের পরিণতি!




.
: “কেমন আছ?”
: “হ্যাঁ এইতো আছি!”...দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলে উঠে, “যেরকম থাকি তোমার খবর কি?”
: “আমি বাড়ি এসেছি তোমার সমস্যা কি মিটেছে?”
: “...নাহ! তো ডাক্তার দেখাতেই চায় না বলে আগেও নাকি দেখিয়েছে
: “আগে মানে কবে?”

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

বলা হয়নি

চার রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে

কতবার ভেবেছি,

বলেছি আর কোনদিন আসবো না।

তবু দ্বি-প্রহর কাটতেই মনকে প্রতারিত করি।

রোদ পালানো মেঘের নীচে দাড়িয়ে

মন ভাঙ্গা যন্ত্রণা গুলোর

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

রীপূ



এক কোণে একটু অন্ধকার মত। আশেপাশে কেউ নেই। দুটি শরীর খুব কাছাকাছি। যতটা কাছে হলে দুজনের নিঃশ্বাসের উষ্ণতা অনুভবে আসে।

- উম!!

- হুমম...

- সরো...

- উ...হু!!

- ফাজিল!

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২

একদিন স্বপ্নের দিন



কথাতো প্রায় প্রতিদিনই হয়। হচ্ছে সেই এক বছর, কিংবা তার বেশিও হতে পারে। কিন্তু দেখা হয়নি। একবার অনেক জোরাজুরির পর নিজের ফটো পাঠিয়েছিল ইমেইলে। তাও শুধু এক পলক দেখেই ডিলিট করে দেয়ার শর্তে!

মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল প্রায় এক বছর? না না , এক বছর নাহ! আমার নেপাল শিক্ষা সফরের দিনও সকালে ফোন করেছিল। তবে আর যোগাযোগ না করার শর্ত জুড়েছিল!!

ও এক পশলা বৃষ্টির মত আমার কাছে আসে যায়। আসে! যায়! চলে যায়। আবার ফিরে ফিরে আসে! এ এক অন্য রকম!

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

“অশরীরী!”


ফ্যানের তীব্র ঘটঘট শব্দ ছাপিয়ে গভীর রাতের কিছু পাখির ডাকের শব্দ ভেসে আসছে। আশেপাশের বাড়িগুলো হতে অন্যান্য দিন নানা লোকের কথা ভেসে আসে। আজকে তাও নেই। ঘর অন্ধকার। দরজার পর্দার ফাঁক দিয়ে পাশের ঘর হতে আসা ঝাপসা একটু আলো দেখা যায় ডিম লাইটের।

কে যেন জানালায় ধাক্কাচ্ছে। ক্যাঁচ! ক্যাঁচ! ধুপ! ধুপ! চার ভাগ করা পর্দার ফাঁকে ফাঁকে ভৌতিক ছায়া!

শীত বিদায় নিবো নিবো করছে। লেপ এখনও বাক্সে তোলা হয়নি। কোলবালিশের মত জড়ানো লেপের ভাজে শুয়ে থাকা শিমলা। আশেপাশের ভৌতিক শব্দকে তুচ্ছে করার প্রাণান্ত চেষ্টায় নিমজ্জিত। জোর করে চোখ বুঝে রয়েছে।

মিছিল

পেয়ারার ডালে পা ঝুলিয়ে কে বসে আছে তা অনুমান করতে খুব একটা কষ্ট হলো না। বিচ্ছুটা সারাদিন ঐ পেয়ারার ডালে বসে গরুর জাবর কাটার মত পেয়ারা চিবাবে।

- এই নীলু, নিরো কোথায়রে? পেয়ারার ডাল ধরে একটু ঝুকে নীলু আমার দিকে তাকায়
- জানি না, দেখো গিয়ে কার উপকার করতে গেছে নিজের খেয়ে নীলুর কথা শুনলে মাঝে মাঝে গা জ্বলে।
এতটুকুন একটা মেয়ে সে কিনা বড়দের মত কথা বলে। নিরোটাকে খুব দরকার। কোথায় যে এখন খুজি! এলাকায় আছে, না অন্য এলাকায় আছে- কে জানে!
নিরো আমাদের বিচ্ছুদলের মধ্যে একেবারেই আলাদা। বাবা-মা নেই। নিজের মত করে বড় হয়েছে বলেই কিনা জানি না, তবে ওর মনটা বড় নরম। যেখানেই কোন মানুষের বিপদ-আপদের কথা শুনবে, ও ছুটে যাবে।

বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২

সাধ একটি পারলৌকিক ডিম

দুপুরটা রঙচটা। বিবর্ণ। পাশের বাড়ির জানালায় ফটোকপি হয়ে ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে ফ্যাকাসে রোদ। তাতে মিশেছে এক চিলতে সোঁদাগন্ধ। উৎস জানা নেই। বারান্দার টবে পাতাবাহারের গাছ ঘুমে ক্লান্ত। ধোঁয়া উঠছে সাফিদের টিনের চূড়া ভেদ করে। নাকে ঢুকছে মুগ ডালের গন্ধ। আহ্! সাথে একটু বোম্বে মরিচ হলে মন্দ হতোনা।

সাধ একটি পারলৌকিক ডিম

মাঝে মাঝে অন্তত,সময় ডিঙিয়ে বনবাসে যেতে হয়
আমার এসব হয়না কিছুই
জলদুপুরে এক আঁজলা পানিতে ডুবিয়ে নাক
বেহুঁশ কাটাই রিক্ত প্রহর।

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

নিষিদ্ধ উপাখ্যান

সাবেক পর্ণ-অভিনেত্রী মার্লি জেন তার বিগত অভিশপ্ত জীবনের কিছু কথা এক ইন্টারভিউ তে উল্লেখ করেছেন। মার্লি ২০০৬-২০১০ পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি পর্নোগ্রাফি ছবিতে কাজ করেছে। সে নিজেও একসময় একটা পর্নো এজেন্সী চালিয়েছে। বর্তমানে তিনি এই নিষিদ্ধ জগতের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে তৎপর। তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন, পিঙ্ক-ক্রস ফাউন্ডেশনের কর্ণধার, সাবেক পর্নো-অভিনেত্রী শেলী লুবেন।

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১২

কষ্টের দস্যিপনা

যখন তুমি পাশে নেই, বুকের মাঝে শূন্যতার প্রতিধ্বনি
অনেক বলতে না পারা কথা, অনেক অসমাপ্ত কথা
দাপিয়ে বেড়ায় বুকের এখানে সেখানে…
তুমি দেখবে হয়তো অনেক কষ্ট পৌরাণিক যুগ পেড়িয়ে গেছে
হয়তো আমার বিঘে দশেক আয়তনে্র মনে

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

লোডশেডিংয়ের রাতে

** purona ekti lekha. jodi notun lekha dite na pari hoyto etakei...


মাদুরের নিচ থেকে হেঁটে আসে 'বিরক্তিরা'
                                 লোডশেডিংয়ের রাতে।
গুমোট অন্ধকারে চলে ভ্রু কুঁচকে, আচম্‌কা হোঁচট!
উল্টে পড়ে পুরনো আতরের নীল শিশিতে।
                                    হঠাৎ দুলুনিতে-   
নড়েচড়ে উঠে শিশির ভেতর ছোট্র 'আশ্বাস'
কিছুটা প্রশ্রয় পেয়ে নিঃশ্বাসে এসে লাগে
                          লোডশেডিংয়ের রাতে...

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১২

আমার শৈশব


আকাশ জুড়ে এলো ঐ
কালো বরণ দেয়া-
কালবৈশাখী এলো ঐ
বেঁধে রাখো খেয়া।

পান্তা ভাত



//এক//

-আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে কেমন যেন অস্বাভাবিক আচরণ করে। আমি বুঝতে পারি না। কোনমতে কথাগুলা বললো ইমন।

-কেমন আচরণ? বিস্তারিত বলুন। গম্ভীর ভাবে বললেন সাইক্রিয়াট্রিস্ট ডঃ রওশন আরা।

ইমন মাথা নীচু করলো লজ্জায়। কিভাবে বলবে বুঝতে পারছে না। আজকে ছুটি নিয়ে সোজা অফিস থেকে চলে এসেছে। আপয়েন্টমেন্ট আগে থেকেই নেয়া ছিল। পুষ্প এখনও কিছু জানে না।

-কি হল বলুন? চুপ করে থাকলে আমি বুঝবো কি করে?

-ইয়ে মানে, আমাদের বিয়ে হয়েছে ৫ মাস হলো। এখনো আমি আমার স্ত্রীর ... বলে ইমন চুপ করে গেল।

-আপনাদের বিয়ে কিভাবে হয়েছে? পারিবারিক ভাবে?

-আমরা ক্লাসমেট ছিলাম। নিজেরা পছন্দ করেছি। পরে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয়।

-আপনাদের মধ্যে ফিজিকাল রিলেশন হয় নাই এখনো, এটাই তো বুঝাতে চাইছেন তাই না? কাগজের উপরে কেস হিস্ট্রি লিখতে লিখতে জিজ্ঞাসা করলেন সাইক্রিয়াট্রিস্ট।

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

সংঘবদ্ধ লেখকশক্তি ও সমসাময়িকতা

সংঘবদ্ধ লেখকশক্তি ও সমসাময়িকতা

সমসাময়িকতা থেকে একটু পিছিয়ে থাকলে খুব একটা ক্ষতি নেই। বরং পিছিয়ে পড়া মানুষরা অবক্ষয়টা টের পায় আগে ভাগে। প্রতিটি পরিবর্তন কিংবা এগিয়ে যাওয়ার ধাপগুলো তারা তৃতীয় কোণ থেকে দেখতে পায়। এক দৃষ্টিতে তাদেরকে সমাজ পরিবর্তনের ‘ওয়াচ ডগ’ বলা যায়।

সমসাময়িক (contemporary) মানুষরা সময়ের স্রোতে ভেসে চলেন। তারা হাওয়ার পক্ষে পাল তোলেন। পাল তোলার অবশ্য এটাই নিয়ম। হাওযার বিপক্ষে পাল তুললে হয় পাল ছিড়বে, নতুবা ইচ্ছার বিপরীত পথে যাত্রা হবে। যাই হোক, সমসাময়িক আধুনিক মানুষরা খুব একটা সৃস্টিশীল হন না, কারণ তারা নবসৃষ্টির ভোক্তামাত্র, কিংবা অনেক ক্ষেত্রে প্রণোদনা।……

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

‘সংকাশ’ এর প্রথম প্রয়াস-‘নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা’

‘সংকাশ’ এর যাত্রা শুরু হয়ছে সবে মাত্র । প্রথম প্রয়াস হিসেবে  বই মেলা ২০১২ তে “নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা” নামে একটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী ছোটগল্প সংকলন প্রকাশ করেছে  ‘সংকাশ’।