সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

নিষিদ্ধ উপাখ্যান

সাবেক পর্ণ-অভিনেত্রী মার্লি জেন তার বিগত অভিশপ্ত জীবনের কিছু কথা এক ইন্টারভিউ তে উল্লেখ করেছেন। মার্লি ২০০৬-২০১০ পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি পর্নোগ্রাফি ছবিতে কাজ করেছে। সে নিজেও একসময় একটা পর্নো এজেন্সী চালিয়েছে। বর্তমানে তিনি এই নিষিদ্ধ জগতের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে তৎপর। তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন, পিঙ্ক-ক্রস ফাউন্ডেশনের কর্ণধার, সাবেক পর্নো-অভিনেত্রী শেলী লুবেন।



শেলীঃ মার্লি তুমি কিভাবে এই জগতে এলে?

মার্লিঃ MySpace এর মাধ্যমে জানতে পারি। আমাকে বলেছিল সঙ্গীতের জগতের সাথে আমার পরিচয় করাবে আর আমি একদিন গানের শিল্পী হব। আমাকে বলেছিল গানের অডিশনের কথা। কিন্তু আমি গিয়ে ঐরকম কিছু দেখলাম না। আমি সান দিয়েগো থেকে সান পেদ্রো গিয়েছিলাম শুধু সঙ্গীত শিল্পী হবার আশায়। অসহায় অবস্থায় পড়লাম ওখানে গিয়ে আর জীবনের প্রথমবারের মত ধর্ষিতা হলাম এক দৈত্যাকৃতির নিগ্রোর কাছে। ওদের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমি ওদের ঘৃণা যে করতাম তাও না কিন্তু আমি দেখলাম এই কালোরা আমাকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ঐ লোকটা আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো আর আমাকে পয়সা দেয়ার বেলায় কোন আগ্রহ দেখালো না। যাই হোক, প্রথমবার ধর্ষণের জন্য আমি পেলাম ২০ ডলার।

শেলীঃ কয়টা পর্নো-মুভি করেছো?

মার্লিঃ যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বাসার ভাড়া আর আমার নেশার সামগ্রী কিনতে হয়েছে ততক্ষণ আমাকে মুভি করতে হয়েছে। নেশা করতাম অতীতকে ভুলে থাকার জন্য। আমি এগুলো করতাম ভেতরে ভেতরে, ভেবেছিলাম আমার পরিবার জানবে না, কিন্তু তারা জেনে যায় আর আমি ভীষণ লজ্জায় পড়ে যাই। ছোট বেলায় আমাকে কখনও যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় নাই। আমার বাবা-মা এখনো আমার কাছে সবচাইতে ভাল পিতা-মাতা। আমাকে আমার নানা-নানী মানুষ করে দুই বছর থেকে কারণ আমার বাবা-মা দুইজনেই নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি যখন স্কুলে পড়তাম, মানুষের কথায় প্ররোচিতো হয়ে আমি ‘ব্লো-জব’ (শিশ্ন লেহন) এর বেপারে আগ্রহী হই। আমাকে বোঝায় অন্যরা, এটা এমন কিছু না, আর দেখবা ছেলেরা তোমাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। হয়েছিলোও তাই।

শেলীঃ তোমাকে কি মেডিক্যাল চেক-আপের বেপারে নিশ্চয়তা দেয়া হইয়েছিল ৩০ দিন পর পর?

মার্লিঃ নিশ্চই। ওরা অভিনেতা নেত্রীদের নিরাপদ রাখতে গর্ববোধ করে। মজার কথা হল, ওখানের বেশীর ভাগ মেয়েই হয় পতিতা আর ছেলেরা হয় টাকার বিনিময়ে সমকামী। ওরা ওদের নিজেদের দরকারেই প্রত্যেকবার টেষ্ট করিয়ে নিতো। আমি দেখেছি, পুরুষ অভিনেতারা তাদের শিশ্নকে অধিক সময় উত্থিত করে রাখতে নোংরা ইঞ্জেকশন দিয়ে তাদের শিশ্নে ড্রাগ দিচ্ছে। আর এটাকে নিশ্চই নিরাপত্তা বলা চলে না।

শেলীঃ পুরুষদের ব্যাপারে কি কোন ধরণের নিশ্চয়তা দেয়া হয়?

মার্লিঃ অনেকেই এটাকে মনে করে মজার কিছু। এর পিছনের ঘটনা জানে না অনেকেই। তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য করা হয় পাষন্ডের মত সঙ্গম করতে, শিশ্নকে উত্থিত রাখতে, আর টাকার পরিমান অনুসারে কাজ করে যেতে।

শেলীঃ তোমার কাছে খুব আপত্তিকর লেগেছে এমন কিছু সম্পর্কে বল।

মার্লিঃ “Squirting” (সবেগে যোনী ক্ষরণ) যেটা আসলে বেশীরভাগ সময়ই মিথ্যা থাকে। এটা হয় পেশাব আর না হয় পানি ভরা একটা একটা থলি থাকে, যা বলা মাত্রই চাপ দিয়ে বের করতে হয়। শ্যুটিং এর জায়গায় অনেক বিয়ার আর ঠান্ডা পানি রাখা থাকে যেন অগুলা খেয়ে সময় মত মুত্রত্যাগ করা যায়। অনেক অভিনেতাই জানে না এখানে আসার আগে যে তাদের গায়ের উপরে অন্তত ২০ টা মেয়ে পেশাব করে দিবে।

“Bukkake”  (বহু পুরুষের সমন্নিত স্খলিত বীর্যপান) যেটা অনেক মেয়েই আগে থাকে জানে না তাদের কি করতে হবে। অনেকগুলো ছেলে একের পর এক, মেয়েটাকে ঘিরে উলঙ্গ হয়ে হস্তমৈথুন করতে করতে বীর্যস্খলন করবে হয় মেয়েটার মুখের ভেতরে অথবা কোন গ্লাসে একসাথে নিয়ে মেয়েটাকে দিবে, পরে মেয়েটার ঐ জিনিস গিলে নিতে হবে পুরোটাই। আমি একটা মেয়েকে জানি যে সে একসাথে ৫০ তা ছেলের বীর্যপান করেছে। ছিহঃ!

শেলীঃ এই ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের সাথে কি ভাল আচরন করা হয় বা বন্ধুসুলভ কিছু পায় মেয়েরা?

মার্লিঃ বন্ধু? কেউ না! ওরা চায় ওদের সাথে ড্রাগ নাও, পার্টি কর, আর ওদের কথা মত কাজ কর। সবাই লোভী ওরা। যদি তুমি সরে যেতে চাও অথবা তোমার ‘হার্পিস’ এর মত অসুখ হয় তাহলে ওদের কাউকে আর দেখবেও না। কিন্তু শুরুতে ওরাও অমন ছিল না। যখন মানুষ জানবে যে তুমি সেক্স-মুভি করছো, তখন লোকে মনে করবে তুমি ওদের সাথেও যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত। আমাকেও বহুবার ওদের সাথে ওগুলো করতে হয়েছে। কাজ হয়ে গেলে ওরা বলে, ওরা আমাকে এর জন্য সন্মান(!) করে। শুনতে ভালই লাগতো তখন। কেউ কেউ আমাকে এখন চিনেই না। মড়ার উপরে খাড়ার ঘা আর কি!

শেলীঃ তোমার কি কোন যৌনব্যাধি হয়েছে?

মার্লিঃ আমার মনে হয় আমার শুধু HIV টাই হয় নাই। আমার প্রথমে HPV হয়েছিল। ঐ ক্ষত সারাতে কয়েক দফা অপারেশন করতে হয়েছে। এরপর “Chlamydia” আর “Gonorrhea” হয়েছে বার কয়েক। এক সকালের কথা মনে পড়ে। ঘুম থেকে উঠেই দেখি  রক্তে সয়লাব। চিন্তা করে দেখ তখন কেমন লাগে? অথচ আমি জানতামই না এটা কেন হল! এরপর ধরা পড়ল আমার গনোরিয়া হয়েছে। এখন আমার হার্পিস ও আছে। জানার কোন উপায় নেই কিভাবে হল আর কতদিন থাকবে। আমাকে এগুলার জন্য অনেক কষ্ট পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়িত। এছাড়াও যৌনতার ক্ষেত্রেও আমার অনেক অসুবিধা হচ্ছে।

শেলীঃ তুমি কি যৌনব্যাধি নিয়েও অভিনয় করেছো?

মার্লিঃ সবাই করে। কেউ পাত্তাও দেয় না এসব। সবাই শুধু টাকা চায়। তখনই শুধু করবে না যখন কারো হার্পিস বাইরে থেকেই প্রকটভাবে দেখা দেয়।  এটাই হয়।

শেলীঃ কি ধরণের বর্বরতা সহ্য করতে হয় তোমাদের?

মার্লিঃ অনেক খারাপ। এরা সবাই বর্বর। যোনীদ্বার আর পায়ুপথ যেন ছিঁড়ে ফেলে। মেয়ের মুখে ইচ্ছামত আঘাত করে। খিস্তিখেউড়ের তো শেষ নাই। মেয়েদের খানকী, মাগী, নটি, কুত্তি এর চাইতে ভালো কিছু বলে ডাকা হয় না। কোন মেয়ের জন্য এটা সহ্য করা অনেক কষ্টের। শুধু তোমার সাথের অভিনেতাই তোমার সাথে সঙ্গম করবে না, বরং পারলে সেটের সবাই তোমাকে খাবলে খেতে চাইবে। ওরা তোমাকে এর বিনিময়ে অনেক কাজ দিতে চাইবে। তারা তোমাকে আরো ভিন্ন ভিন্ন পরিচালকের সন্ধান দিতে চাইবে। আসলে এসব কিছুই না, তোমার শরীর কে ওদের ইচ্ছামত ওরা ভোগে আনতে চাইবে।

শেলীঃ মেয়েদের চিৎকার করতে, কাঁদতে বা বমি করতে দেখেছো কখনো?

মার্লিঃ অনেকবার। আমার বিজনেস পার্টনার কেই বলতে শুনেছি, ‘ঐ মাগীরে চুপ করা। আর বমি না করা পর্যন্ত মাগীর মুখের মধ্যে দিতে থাক ভাল করে। এটাই তো শো তে দরকার’। মেয়দের চোখ দিয়ে কান্নার ঢল নামে। অপমানের পর অপমান, এরপর একসময় সহ্য করতে না পেরে নিজের গা ভাসিয়ে বমি করে দেয়। একটা মেয়ের পায়ুতে ধর্ষণের দৃশ্য সবচাইতে নোংরা ব্যাপার। এমন আমার সাথে করা হলে আমি কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে আসতাম কারণ আমার মনে হতো আমাকে এক টুকরেয়া পঁচা মাংসের মত ব্যাবহার করেছে। তোমার বার বার বলা হবে ‘তুই একটা অথর্ব মাগী!’ বলতে বলতে একসময় তুমিও এটা বিশ্বাস করতে শুরু করবে। আমি নিজে যে প্রতিষ্ঠান চালাতাম ওখানে দেখতাম কিভাবে মেয়েদের সাথে জন্তু জানোয়ারের মত সঙ্গম করে তাদের পায়ু, যোনী ছিঁড়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। এ দৃশ্য বলা যায় না। একটা মেয়ে একবার জানালো, তার ভেতরে একটা বড় গজ রয়ে গেছে রক্তপাত বন্ধ করতে। আমরা অনেক কষ্টে সেটা বের করে আনলাম। ভয়াবহ ছিল ব্যাপারটা।

শেলীঃ তোমার একটা খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বল।

মার্লিঃ একবার আমি একটা Spanking মুভি করতে গেলাম। আমার ধারণা ছিল ব্যাপারটা সত্য হবে না। আমি নেশা করে নিয়েছিলাম। একটা মহিলা এসে বেতের এক লাঠি দিয়ে আমাকে এমন ভয়াবহ ভাবে বেদম পিটাতে লাগলো যে সাথে সাথে আমার পিঠে কালশিটে দাগ পড়ে গেল। আমি চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম। এরপর আমাকে জেলখানার মত একটা ঘরে নেয়া হল। ওখানে বসে আমি কাঁদতে লাগলাম। আমাকে অনেকগুলা পেইনকিলার খেতে হয়েছিল। আমি হাটতেও পারছিলাম না ঠিকমত।

শেলীঃ নেশার দ্রব্য, মদ এগুলা কি ওখানেই থাকে না তুমি নিয়ে যেতে?

মার্লিঃ দুটোই। তুমি আশা করো না ওরা তোমার জন্য উপনার আনবে। ওরা দিবে তোমাকে এইগুলাই। বেশী করে ওদের জন্য কাজ কর আরে বেশী করে নেশা কর।

শেলীঃ তুমি নিজেও তো প্রযোজনা করেছ। সে সম্পর্কে কিছু বল।

মার্লিঃ আমি একটা সুন্দর দেখে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার দালাল ওটাকে একতা পতিতালয় বানায়ে ফেলল। একটা মেয়ে এতো বেশী নেশা করে ফেললো যে ওর জীবনাশঙ্কা দেখা দিলো। আমরা ঘুব ঘাবড়ে গেলাম।

শেলীঃ তুমি কি এমন দেখেছো যে, যে একটা মেয়ে চাইছে না কিন্তু জোর করে তাকে দিয়ে ভিডিও করানো হচ্ছে?

মার্লিঃ নিশ্চই। ওরা তোমাকে টাকার কতাহ বলে আনবে। ওরা ড্রাগ আর বিভিন্ন পার্টি নিয়ে আসবে। এরা গাড়ির দালালদের মত। ওরা তোমানে কোন কাজ করতে উৎসাহ দিবে কিন্তু এর পরিণতি নিয়ে কিছুই বলবে না। এরপর মেয়েটাকে ওরা কাজটা করতে বাধ্য করে।

শেলীঃ তুমি ছেড়ে দিলে কেন এই রাস্তা?

মার্লিঃ আমি বুঝতাম যে এই পথ আমার জন্য না। আমি নিজে নিজে বাঁচতে চেয়েছিলাম। আমি আমার স্বামীকে শুধু এই কারণে ছেড়ে দিয়েছিলাম কারণ সে, অযথা আমাকে খানকি মাগী বলে গালাগাল দিত। আমি ওকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম আসল খানকি মাগি কি ধরনের হতে পারে। এরপর থেকে শুরু-
কিন্তু এখন আমাকে ১০০ কোটি ডলার দিয়ে সাধলেও এই পথে আর যাবো না।

শেলীঃ তুমি এখন কি করছো?

মার্লিঃ আমি এখন সেলস এক্সিকিউটিভ হয়ে কাজ করছি একটা ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি খুব শীঘ্রই একজন শিল্পীর ম্যানেজার হিসাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। এরপর আমি নিজে কিছু ব্যবসা করতে চাই।

ইশ্বর আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি মনে করতাম আমি একা, কিন্তু এখন বুঝতে পারি আমি একা নই। ইশ্বর আমার সাথে আছেন।

(সূত্রঃ ইন্টারনেট, কিঞ্চিত সংক্ষেপিত)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

নিষিদ্ধ উপাখ্যান

সাবেক পর্ণ-অভিনেত্রী মার্লি জেন তার বিগত অভিশপ্ত জীবনের কিছু কথা এক ইন্টারভিউ তে উল্লেখ করেছেন। মার্লি ২০০৬-২০১০ পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি পর্নোগ্রাফি ছবিতে কাজ করেছে। সে নিজেও একসময় একটা পর্নো এজেন্সী চালিয়েছে। বর্তমানে তিনি এই নিষিদ্ধ জগতের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে তৎপর। তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন, পিঙ্ক-ক্রস ফাউন্ডেশনের কর্ণধার, সাবেক পর্নো-অভিনেত্রী শেলী লুবেন।



শেলীঃ মার্লি তুমি কিভাবে এই জগতে এলে?

মার্লিঃ MySpace এর মাধ্যমে জানতে পারি। আমাকে বলেছিল সঙ্গীতের জগতের সাথে আমার পরিচয় করাবে আর আমি একদিন গানের শিল্পী হব। আমাকে বলেছিল গানের অডিশনের কথা। কিন্তু আমি গিয়ে ঐরকম কিছু দেখলাম না। আমি সান দিয়েগো থেকে সান পেদ্রো গিয়েছিলাম শুধু সঙ্গীত শিল্পী হবার আশায়। অসহায় অবস্থায় পড়লাম ওখানে গিয়ে আর জীবনের প্রথমবারের মত ধর্ষিতা হলাম এক দৈত্যাকৃতির নিগ্রোর কাছে। ওদের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমি ওদের ঘৃণা যে করতাম তাও না কিন্তু আমি দেখলাম এই কালোরা আমাকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ঐ লোকটা আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো আর আমাকে পয়সা দেয়ার বেলায় কোন আগ্রহ দেখালো না। যাই হোক, প্রথমবার ধর্ষণের জন্য আমি পেলাম ২০ ডলার।

শেলীঃ কয়টা পর্নো-মুভি করেছো?

মার্লিঃ যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বাসার ভাড়া আর আমার নেশার সামগ্রী কিনতে হয়েছে ততক্ষণ আমাকে মুভি করতে হয়েছে। নেশা করতাম অতীতকে ভুলে থাকার জন্য। আমি এগুলো করতাম ভেতরে ভেতরে, ভেবেছিলাম আমার পরিবার জানবে না, কিন্তু তারা জেনে যায় আর আমি ভীষণ লজ্জায় পড়ে যাই। ছোট বেলায় আমাকে কখনও যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় নাই। আমার বাবা-মা এখনো আমার কাছে সবচাইতে ভাল পিতা-মাতা। আমাকে আমার নানা-নানী মানুষ করে দুই বছর থেকে কারণ আমার বাবা-মা দুইজনেই নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি যখন স্কুলে পড়তাম, মানুষের কথায় প্ররোচিতো হয়ে আমি ‘ব্লো-জব’ (শিশ্ন লেহন) এর বেপারে আগ্রহী হই। আমাকে বোঝায় অন্যরা, এটা এমন কিছু না, আর দেখবা ছেলেরা তোমাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। হয়েছিলোও তাই।

শেলীঃ তোমাকে কি মেডিক্যাল চেক-আপের বেপারে নিশ্চয়তা দেয়া হইয়েছিল ৩০ দিন পর পর?

মার্লিঃ নিশ্চই। ওরা অভিনেতা নেত্রীদের নিরাপদ রাখতে গর্ববোধ করে। মজার কথা হল, ওখানের বেশীর ভাগ মেয়েই হয় পতিতা আর ছেলেরা হয় টাকার বিনিময়ে সমকামী। ওরা ওদের নিজেদের দরকারেই প্রত্যেকবার টেষ্ট করিয়ে নিতো। আমি দেখেছি, পুরুষ অভিনেতারা তাদের শিশ্নকে অধিক সময় উত্থিত করে রাখতে নোংরা ইঞ্জেকশন দিয়ে তাদের শিশ্নে ড্রাগ দিচ্ছে। আর এটাকে নিশ্চই নিরাপত্তা বলা চলে না।

শেলীঃ পুরুষদের ব্যাপারে কি কোন ধরণের নিশ্চয়তা দেয়া হয়?

মার্লিঃ অনেকেই এটাকে মনে করে মজার কিছু। এর পিছনের ঘটনা জানে না অনেকেই। তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য করা হয় পাষন্ডের মত সঙ্গম করতে, শিশ্নকে উত্থিত রাখতে, আর টাকার পরিমান অনুসারে কাজ করে যেতে।

শেলীঃ তোমার কাছে খুব আপত্তিকর লেগেছে এমন কিছু সম্পর্কে বল।

মার্লিঃ “Squirting” (সবেগে যোনী ক্ষরণ) যেটা আসলে বেশীরভাগ সময়ই মিথ্যা থাকে। এটা হয় পেশাব আর না হয় পানি ভরা একটা একটা থলি থাকে, যা বলা মাত্রই চাপ দিয়ে বের করতে হয়। শ্যুটিং এর জায়গায় অনেক বিয়ার আর ঠান্ডা পানি রাখা থাকে যেন অগুলা খেয়ে সময় মত মুত্রত্যাগ করা যায়। অনেক অভিনেতাই জানে না এখানে আসার আগে যে তাদের গায়ের উপরে অন্তত ২০ টা মেয়ে পেশাব করে দিবে।

“Bukkake”  (বহু পুরুষের সমন্নিত স্খলিত বীর্যপান) যেটা অনেক মেয়েই আগে থাকে জানে না তাদের কি করতে হবে। অনেকগুলো ছেলে একের পর এক, মেয়েটাকে ঘিরে উলঙ্গ হয়ে হস্তমৈথুন করতে করতে বীর্যস্খলন করবে হয় মেয়েটার মুখের ভেতরে অথবা কোন গ্লাসে একসাথে নিয়ে মেয়েটাকে দিবে, পরে মেয়েটার ঐ জিনিস গিলে নিতে হবে পুরোটাই। আমি একটা মেয়েকে জানি যে সে একসাথে ৫০ তা ছেলের বীর্যপান করেছে। ছিহঃ!

শেলীঃ এই ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের সাথে কি ভাল আচরন করা হয় বা বন্ধুসুলভ কিছু পায় মেয়েরা?

মার্লিঃ বন্ধু? কেউ না! ওরা চায় ওদের সাথে ড্রাগ নাও, পার্টি কর, আর ওদের কথা মত কাজ কর। সবাই লোভী ওরা। যদি তুমি সরে যেতে চাও অথবা তোমার ‘হার্পিস’ এর মত অসুখ হয় তাহলে ওদের কাউকে আর দেখবেও না। কিন্তু শুরুতে ওরাও অমন ছিল না। যখন মানুষ জানবে যে তুমি সেক্স-মুভি করছো, তখন লোকে মনে করবে তুমি ওদের সাথেও যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত। আমাকেও বহুবার ওদের সাথে ওগুলো করতে হয়েছে। কাজ হয়ে গেলে ওরা বলে, ওরা আমাকে এর জন্য সন্মান(!) করে। শুনতে ভালই লাগতো তখন। কেউ কেউ আমাকে এখন চিনেই না। মড়ার উপরে খাড়ার ঘা আর কি!

শেলীঃ তোমার কি কোন যৌনব্যাধি হয়েছে?

মার্লিঃ আমার মনে হয় আমার শুধু HIV টাই হয় নাই। আমার প্রথমে HPV হয়েছিল। ঐ ক্ষত সারাতে কয়েক দফা অপারেশন করতে হয়েছে। এরপর “Chlamydia” আর “Gonorrhea” হয়েছে বার কয়েক। এক সকালের কথা মনে পড়ে। ঘুম থেকে উঠেই দেখি  রক্তে সয়লাব। চিন্তা করে দেখ তখন কেমন লাগে? অথচ আমি জানতামই না এটা কেন হল! এরপর ধরা পড়ল আমার গনোরিয়া হয়েছে। এখন আমার হার্পিস ও আছে। জানার কোন উপায় নেই কিভাবে হল আর কতদিন থাকবে। আমাকে এগুলার জন্য অনেক কষ্ট পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়িত। এছাড়াও যৌনতার ক্ষেত্রেও আমার অনেক অসুবিধা হচ্ছে।

শেলীঃ তুমি কি যৌনব্যাধি নিয়েও অভিনয় করেছো?

মার্লিঃ সবাই করে। কেউ পাত্তাও দেয় না এসব। সবাই শুধু টাকা চায়। তখনই শুধু করবে না যখন কারো হার্পিস বাইরে থেকেই প্রকটভাবে দেখা দেয়।  এটাই হয়।

শেলীঃ কি ধরণের বর্বরতা সহ্য করতে হয় তোমাদের?

মার্লিঃ অনেক খারাপ। এরা সবাই বর্বর। যোনীদ্বার আর পায়ুপথ যেন ছিঁড়ে ফেলে। মেয়ের মুখে ইচ্ছামত আঘাত করে। খিস্তিখেউড়ের তো শেষ নাই। মেয়েদের খানকী, মাগী, নটি, কুত্তি এর চাইতে ভালো কিছু বলে ডাকা হয় না। কোন মেয়ের জন্য এটা সহ্য করা অনেক কষ্টের। শুধু তোমার সাথের অভিনেতাই তোমার সাথে সঙ্গম করবে না, বরং পারলে সেটের সবাই তোমাকে খাবলে খেতে চাইবে। ওরা তোমাকে এর বিনিময়ে অনেক কাজ দিতে চাইবে। তারা তোমাকে আরো ভিন্ন ভিন্ন পরিচালকের সন্ধান দিতে চাইবে। আসলে এসব কিছুই না, তোমার শরীর কে ওদের ইচ্ছামত ওরা ভোগে আনতে চাইবে।

শেলীঃ মেয়েদের চিৎকার করতে, কাঁদতে বা বমি করতে দেখেছো কখনো?

মার্লিঃ অনেকবার। আমার বিজনেস পার্টনার কেই বলতে শুনেছি, ‘ঐ মাগীরে চুপ করা। আর বমি না করা পর্যন্ত মাগীর মুখের মধ্যে দিতে থাক ভাল করে। এটাই তো শো তে দরকার’। মেয়দের চোখ দিয়ে কান্নার ঢল নামে। অপমানের পর অপমান, এরপর একসময় সহ্য করতে না পেরে নিজের গা ভাসিয়ে বমি করে দেয়। একটা মেয়ের পায়ুতে ধর্ষণের দৃশ্য সবচাইতে নোংরা ব্যাপার। এমন আমার সাথে করা হলে আমি কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে আসতাম কারণ আমার মনে হতো আমাকে এক টুকরেয়া পঁচা মাংসের মত ব্যাবহার করেছে। তোমার বার বার বলা হবে ‘তুই একটা অথর্ব মাগী!’ বলতে বলতে একসময় তুমিও এটা বিশ্বাস করতে শুরু করবে। আমি নিজে যে প্রতিষ্ঠান চালাতাম ওখানে দেখতাম কিভাবে মেয়েদের সাথে জন্তু জানোয়ারের মত সঙ্গম করে তাদের পায়ু, যোনী ছিঁড়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। এ দৃশ্য বলা যায় না। একটা মেয়ে একবার জানালো, তার ভেতরে একটা বড় গজ রয়ে গেছে রক্তপাত বন্ধ করতে। আমরা অনেক কষ্টে সেটা বের করে আনলাম। ভয়াবহ ছিল ব্যাপারটা।

শেলীঃ তোমার একটা খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বল।

মার্লিঃ একবার আমি একটা Spanking মুভি করতে গেলাম। আমার ধারণা ছিল ব্যাপারটা সত্য হবে না। আমি নেশা করে নিয়েছিলাম। একটা মহিলা এসে বেতের এক লাঠি দিয়ে আমাকে এমন ভয়াবহ ভাবে বেদম পিটাতে লাগলো যে সাথে সাথে আমার পিঠে কালশিটে দাগ পড়ে গেল। আমি চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম। এরপর আমাকে জেলখানার মত একটা ঘরে নেয়া হল। ওখানে বসে আমি কাঁদতে লাগলাম। আমাকে অনেকগুলা পেইনকিলার খেতে হয়েছিল। আমি হাটতেও পারছিলাম না ঠিকমত।

শেলীঃ নেশার দ্রব্য, মদ এগুলা কি ওখানেই থাকে না তুমি নিয়ে যেতে?

মার্লিঃ দুটোই। তুমি আশা করো না ওরা তোমার জন্য উপনার আনবে। ওরা দিবে তোমাকে এইগুলাই। বেশী করে ওদের জন্য কাজ কর আরে বেশী করে নেশা কর।

শেলীঃ তুমি নিজেও তো প্রযোজনা করেছ। সে সম্পর্কে কিছু বল।

মার্লিঃ আমি একটা সুন্দর দেখে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার দালাল ওটাকে একতা পতিতালয় বানায়ে ফেলল। একটা মেয়ে এতো বেশী নেশা করে ফেললো যে ওর জীবনাশঙ্কা দেখা দিলো। আমরা ঘুব ঘাবড়ে গেলাম।

শেলীঃ তুমি কি এমন দেখেছো যে, যে একটা মেয়ে চাইছে না কিন্তু জোর করে তাকে দিয়ে ভিডিও করানো হচ্ছে?

মার্লিঃ নিশ্চই। ওরা তোমাকে টাকার কতাহ বলে আনবে। ওরা ড্রাগ আর বিভিন্ন পার্টি নিয়ে আসবে। এরা গাড়ির দালালদের মত। ওরা তোমানে কোন কাজ করতে উৎসাহ দিবে কিন্তু এর পরিণতি নিয়ে কিছুই বলবে না। এরপর মেয়েটাকে ওরা কাজটা করতে বাধ্য করে।

শেলীঃ তুমি ছেড়ে দিলে কেন এই রাস্তা?

মার্লিঃ আমি বুঝতাম যে এই পথ আমার জন্য না। আমি নিজে নিজে বাঁচতে চেয়েছিলাম। আমি আমার স্বামীকে শুধু এই কারণে ছেড়ে দিয়েছিলাম কারণ সে, অযথা আমাকে খানকি মাগী বলে গালাগাল দিত। আমি ওকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম আসল খানকি মাগি কি ধরনের হতে পারে। এরপর থেকে শুরু-
কিন্তু এখন আমাকে ১০০ কোটি ডলার দিয়ে সাধলেও এই পথে আর যাবো না।

শেলীঃ তুমি এখন কি করছো?

মার্লিঃ আমি এখন সেলস এক্সিকিউটিভ হয়ে কাজ করছি একটা ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি খুব শীঘ্রই একজন শিল্পীর ম্যানেজার হিসাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। এরপর আমি নিজে কিছু ব্যবসা করতে চাই।

ইশ্বর আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি মনে করতাম আমি একা, কিন্তু এখন বুঝতে পারি আমি একা নই। ইশ্বর আমার সাথে আছেন।

(সূত্রঃ ইন্টারনেট, কিঞ্চিত সংক্ষেপিত)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন