এক কোণে একটু অন্ধকার মত। আশেপাশে কেউ নেই। দুটি শরীর খুব কাছাকাছি। যতটা কাছে হলে দুজনের নিঃশ্বাসের উষ্ণতা অনুভবে আসে।
- উম!!
- হুমম...
- সরো...
- উ...হু!!
- ফাজিল!
“এই নাও, কফি!” চমকে সম্বিত ফিরে পেলো সুপ্তি! কান লাল হয়ে উঠলো সামান্য! সজীবের বাড়িয়ে দেওয়া হাত থেকে ওয়ান টাইম ইউজ কফির প্লাস্টিকের গ্লাসটা নিলো কাঁপা হাতে।
কিছুক্ষণ আগে ও কি স্বপ্ন দেখছিলো? জেগে জেগে! সজীবের ফটোগ্রাফী একজিবিশন দেখতে এসেছে সে। ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে। সামনেই প্রদর্শনীর প্রধান অতিথি বক্তব্য দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বসার আসনের তৃতীয় সাড়িতে বসেছিলো ও। পাশের আসনে সজীব। ও কখন উঠে গিয়ে আবার কফি হাতে ফিরেও এসেছে টের পায়নি সুপ্তি।
সুপ্তি ভেবে পায়না সজীবের আশেপাশে এলেই ওর কেমন যেন লাগছে। এমন আগে কখনো লাগেনিতো! কোন পুরুষের পাশে। ওর চোখে তাকিয়ে কথা বলতে গিয়েও নিজে থেকেই চোখ সরিয়ে নিতে হচ্ছে। অথচ, গত কয়েক বছর ধরে ওরা কত কথা বলে।
নামকরা ফটোগ্রাফার সজীবের সাথে যোগযোগটা একটু অদ্ভুতই। সজীব মেহমুদ নামটি খুব টেনেছিলো ওকে।
অবশ্য সজীবের ছবিতে তাকালেও কেমন জানি লাগে। ওর চোখের ভেতরে কি যেন একটা আছে। যা ওকে খুব টানে। ইচ্ছে করে... !
ধুর!! এসব কি ভাবে ও! এরকম আবেগ প্রশ্রয় দেয়াই ঠিক না। মাত্র উঠতি বয়সের নবীন একটা ছেলের প্রতি এভাবে দূর্বল হয়েই বা লাভ কি!
- তুমি কি কিছু ভাবছো? নাকি টায়ার্ড?
- চোখের দিকে তাকিয়ে আবার একটু ঘোর লেগে যায়! তবু বলে “উম?! ন...নাহ!”
- তাহলে?
- আমাকে এখন যেতে হবেরে!
- পুরো হল ঘুরে দেখেছো?
- হ্যাঁ। দারুন ছবি তুলিস তুই!
- থ্যাঙ্কস! কিনবা?
- ওরে বাবা! না-রে!
কথা বলতে বলতে তিন তলা থেকে নেমে আসে দুজনে। সজীব রিকশা ঠিক করে দিয়ে বলে, “সাথে যেতে হবে?”
- আরে না না। তুই সাথে আসবি কেন? ভালো থাকিস।
সজীবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রিকশায় উঠে বসে ও। রিকশা চলতে শুরু করল। সুপ্তি ভাবলো, সে যদি সজীবকে রিকশায় উঠিয়ে নিতো, পরে কি কিছু ঘটতো? ওই স্বপ্নের মত! মনের গোপনে একটা অংশ ঠিকই চায় যা ভাবনা আসে করে ফেলতে! কিন্তু, তাই কি হয়! ছোট্ট একটা শ্বাস গোপন করে মুচকি হেসে উঠে! রিকশা চলতে শুরু করে ওর গন্তব্যে।
এক কোণে একটু অন্ধকার মত। আশেপাশে কেউ নেই। দুটি শরীর খুব কাছাকাছি। যতটা কাছে হলে দুজনের নিঃশ্বাসের উষ্ণতা অনুভবে আসে।
- উম!!
- হুমম...
- সরো...
- উ...হু!!
- ফাজিল!
“এই নাও, কফি!” চমকে সম্বিত ফিরে পেলো সুপ্তি! কান লাল হয়ে উঠলো সামান্য! সজীবের বাড়িয়ে দেওয়া হাত থেকে ওয়ান টাইম ইউজ কফির প্লাস্টিকের গ্লাসটা নিলো কাঁপা হাতে।
কিছুক্ষণ আগে ও কি স্বপ্ন দেখছিলো? জেগে জেগে! সজীবের ফটোগ্রাফী একজিবিশন দেখতে এসেছে সে। ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে। সামনেই প্রদর্শনীর প্রধান অতিথি বক্তব্য দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বসার আসনের তৃতীয় সাড়িতে বসেছিলো ও। পাশের আসনে সজীব। ও কখন উঠে গিয়ে আবার কফি হাতে ফিরেও এসেছে টের পায়নি সুপ্তি।
সুপ্তি ভেবে পায়না সজীবের আশেপাশে এলেই ওর কেমন যেন লাগছে। এমন আগে কখনো লাগেনিতো! কোন পুরুষের পাশে। ওর চোখে তাকিয়ে কথা বলতে গিয়েও নিজে থেকেই চোখ সরিয়ে নিতে হচ্ছে। অথচ, গত কয়েক বছর ধরে ওরা কত কথা বলে।
নামকরা ফটোগ্রাফার সজীবের সাথে যোগযোগটা একটু অদ্ভুতই। সজীব মেহমুদ নামটি খুব টেনেছিলো ওকে।
অবশ্য সজীবের ছবিতে তাকালেও কেমন জানি লাগে। ওর চোখের ভেতরে কি যেন একটা আছে। যা ওকে খুব টানে। ইচ্ছে করে... !
ধুর!! এসব কি ভাবে ও! এরকম আবেগ প্রশ্রয় দেয়াই ঠিক না। মাত্র উঠতি বয়সের নবীন একটা ছেলের প্রতি এভাবে দূর্বল হয়েই বা লাভ কি!
- তুমি কি কিছু ভাবছো? নাকি টায়ার্ড?
- চোখের দিকে তাকিয়ে আবার একটু ঘোর লেগে যায়! তবু বলে “উম?! ন...নাহ!”
- তাহলে?
- আমাকে এখন যেতে হবেরে!
- পুরো হল ঘুরে দেখেছো?
- হ্যাঁ। দারুন ছবি তুলিস তুই!
- থ্যাঙ্কস! কিনবা?
- ওরে বাবা! না-রে!
কথা বলতে বলতে তিন তলা থেকে নেমে আসে দুজনে। সজীব রিকশা ঠিক করে দিয়ে বলে, “সাথে যেতে হবে?”
- আরে না না। তুই সাথে আসবি কেন? ভালো থাকিস।
সজীবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রিকশায় উঠে বসে ও। রিকশা চলতে শুরু করল। সুপ্তি ভাবলো, সে যদি সজীবকে রিকশায় উঠিয়ে নিতো, পরে কি কিছু ঘটতো? ওই স্বপ্নের মত! মনের গোপনে একটা অংশ ঠিকই চায় যা ভাবনা আসে করে ফেলতে! কিন্তু, তাই কি হয়! ছোট্ট একটা শ্বাস গোপন করে মুচকি হেসে উঠে! রিকশা চলতে শুরু করে ওর গন্তব্যে।
বেশ লাগলো। চালিয়ে যাও।
উত্তরমুছুনমন্তব্য পেলে লিখতে ভালো লাগে
মুছুন