সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২
সত্যগোপন ও সম্পর্কের পরিণতি!
মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২
বলা হয়নি
চার রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে
কতবার ভেবেছি,
বলেছি আর কোনদিন আসবো না।
তবু দ্বি-প্রহর কাটতেই মনকে প্রতারিত করি।
রোদ পালানো মেঘের নীচে দাড়িয়ে
মন ভাঙ্গা যন্ত্রণা গুলোর
কতবার ভেবেছি,
বলেছি আর কোনদিন আসবো না।
তবু দ্বি-প্রহর কাটতেই মনকে প্রতারিত করি।
রোদ পালানো মেঘের নীচে দাড়িয়ে
মন ভাঙ্গা যন্ত্রণা গুলোর
বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২
মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২
একদিন স্বপ্নের দিন
কথাতো প্রায় প্রতিদিনই হয়। হচ্ছে সেই এক বছর, কিংবা তার বেশিও হতে পারে। কিন্তু দেখা হয়নি। একবার অনেক জোরাজুরির পর নিজের ফটো পাঠিয়েছিল ইমেইলে। তাও শুধু এক পলক দেখেই ডিলিট করে দেয়ার শর্তে!
মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল প্রায় এক বছর? না না , এক বছর নাহ! আমার নেপাল শিক্ষা সফরের দিনও সকালে ফোন করেছিল। তবে আর যোগাযোগ না করার শর্ত জুড়েছিল!!
ও এক পশলা বৃষ্টির মত আমার কাছে আসে যায়। আসে! যায়! চলে যায়। আবার ফিরে ফিরে আসে! এ এক অন্য রকম!
রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২
“অশরীরী!”
ফ্যানের তীব্র ঘটঘট শব্দ ছাপিয়ে গভীর রাতের কিছু পাখির ডাকের শব্দ ভেসে আসছে। আশেপাশের বাড়িগুলো হতে অন্যান্য দিন নানা লোকের কথা ভেসে আসে। আজকে তাও নেই। ঘর অন্ধকার। দরজার পর্দার ফাঁক দিয়ে পাশের ঘর হতে আসা ঝাপসা একটু আলো দেখা যায় ডিম লাইটের।
কে যেন জানালায় ধাক্কাচ্ছে। ক্যাঁচ! ক্যাঁচ! ধুপ! ধুপ! চার ভাগ করা পর্দার ফাঁকে ফাঁকে ভৌতিক ছায়া!
শীত বিদায় নিবো নিবো করছে। লেপ এখনও বাক্সে তোলা হয়নি। কোলবালিশের মত জড়ানো লেপের ভাজে শুয়ে থাকা শিমলা। আশেপাশের ভৌতিক শব্দকে তুচ্ছে করার প্রাণান্ত চেষ্টায় নিমজ্জিত। জোর করে চোখ বুঝে রয়েছে।
মিছিল
পেয়ারার ডালে পা ঝুলিয়ে কে বসে আছে তা অনুমান করতে খুব একটা কষ্ট হলো না। বিচ্ছুটা সারাদিন ঐ পেয়ারার ডালে বসে গরুর জাবর কাটার মত পেয়ারা চিবাবে।
- এই নীলু, নিরো কোথায়রে? পেয়ারার ডাল ধরে একটু ঝুকে নীলু আমার দিকে তাকায়
- জানি না, দেখো গিয়ে কার উপকার করতে গেছে নিজের খেয়ে নীলুর কথা শুনলে মাঝে মাঝে গা জ্বলে।
এতটুকুন একটা মেয়ে সে কিনা বড়দের মত কথা বলে। নিরোটাকে খুব দরকার। কোথায় যে এখন খুজি! এলাকায় আছে, না অন্য এলাকায় আছে- কে জানে!
নিরো আমাদের বিচ্ছুদলের মধ্যে একেবারেই আলাদা। বাবা-মা নেই। নিজের মত করে বড় হয়েছে বলেই কিনা জানি না, তবে ওর মনটা বড় নরম। যেখানেই কোন মানুষের বিপদ-আপদের কথা শুনবে, ও ছুটে যাবে।
বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২
সাধ একটি পারলৌকিক ডিম
দুপুরটা রঙচটা। বিবর্ণ। পাশের বাড়ির জানালায় ফটোকপি হয়ে ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে ফ্যাকাসে রোদ। তাতে মিশেছে এক চিলতে সোঁদাগন্ধ। উৎস জানা নেই। বারান্দার টবে পাতাবাহারের গাছ ঘুমে ক্লান্ত। ধোঁয়া উঠছে সাফিদের টিনের চূড়া ভেদ করে। নাকে ঢুকছে মুগ ডালের গন্ধ। আহ্! সাথে একটু বোম্বে মরিচ হলে মন্দ হতোনা।
সাধ একটি পারলৌকিক ডিম
মাঝে মাঝে অন্তত,সময় ডিঙিয়ে বনবাসে যেতে হয়
আমার এসব হয়না কিছুই
জলদুপুরে এক আঁজলা পানিতে ডুবিয়ে নাক
বেহুঁশ কাটাই রিক্ত প্রহর।
আমার এসব হয়না কিছুই
জলদুপুরে এক আঁজলা পানিতে ডুবিয়ে নাক
বেহুঁশ কাটাই রিক্ত প্রহর।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২
মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২
বলা হয়নি
চার রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে
কতবার ভেবেছি,
বলেছি আর কোনদিন আসবো না।
তবু দ্বি-প্রহর কাটতেই মনকে প্রতারিত করি।
রোদ পালানো মেঘের নীচে দাড়িয়ে
মন ভাঙ্গা যন্ত্রণা গুলোর
কতবার ভেবেছি,
বলেছি আর কোনদিন আসবো না।
তবু দ্বি-প্রহর কাটতেই মনকে প্রতারিত করি।
রোদ পালানো মেঘের নীচে দাড়িয়ে
মন ভাঙ্গা যন্ত্রণা গুলোর
বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২
মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২
একদিন স্বপ্নের দিন
কথাতো প্রায় প্রতিদিনই হয়। হচ্ছে সেই এক বছর, কিংবা তার বেশিও হতে পারে। কিন্তু দেখা হয়নি। একবার অনেক জোরাজুরির পর নিজের ফটো পাঠিয়েছিল ইমেইলে। তাও শুধু এক পলক দেখেই ডিলিট করে দেয়ার শর্তে!
মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল প্রায় এক বছর? না না , এক বছর নাহ! আমার নেপাল শিক্ষা সফরের দিনও সকালে ফোন করেছিল। তবে আর যোগাযোগ না করার শর্ত জুড়েছিল!!
ও এক পশলা বৃষ্টির মত আমার কাছে আসে যায়। আসে! যায়! চলে যায়। আবার ফিরে ফিরে আসে! এ এক অন্য রকম!
রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২
“অশরীরী!”
ফ্যানের তীব্র ঘটঘট শব্দ ছাপিয়ে গভীর রাতের কিছু পাখির ডাকের শব্দ ভেসে আসছে। আশেপাশের বাড়িগুলো হতে অন্যান্য দিন নানা লোকের কথা ভেসে আসে। আজকে তাও নেই। ঘর অন্ধকার। দরজার পর্দার ফাঁক দিয়ে পাশের ঘর হতে আসা ঝাপসা একটু আলো দেখা যায় ডিম লাইটের।
কে যেন জানালায় ধাক্কাচ্ছে। ক্যাঁচ! ক্যাঁচ! ধুপ! ধুপ! চার ভাগ করা পর্দার ফাঁকে ফাঁকে ভৌতিক ছায়া!
শীত বিদায় নিবো নিবো করছে। লেপ এখনও বাক্সে তোলা হয়নি। কোলবালিশের মত জড়ানো লেপের ভাজে শুয়ে থাকা শিমলা। আশেপাশের ভৌতিক শব্দকে তুচ্ছে করার প্রাণান্ত চেষ্টায় নিমজ্জিত। জোর করে চোখ বুঝে রয়েছে।
মিছিল
পেয়ারার ডালে পা ঝুলিয়ে কে বসে আছে তা অনুমান করতে খুব একটা কষ্ট হলো না। বিচ্ছুটা সারাদিন ঐ পেয়ারার ডালে বসে গরুর জাবর কাটার মত পেয়ারা চিবাবে।
- এই নীলু, নিরো কোথায়রে? পেয়ারার ডাল ধরে একটু ঝুকে নীলু আমার দিকে তাকায়
- জানি না, দেখো গিয়ে কার উপকার করতে গেছে নিজের খেয়ে নীলুর কথা শুনলে মাঝে মাঝে গা জ্বলে।
এতটুকুন একটা মেয়ে সে কিনা বড়দের মত কথা বলে। নিরোটাকে খুব দরকার। কোথায় যে এখন খুজি! এলাকায় আছে, না অন্য এলাকায় আছে- কে জানে!
নিরো আমাদের বিচ্ছুদলের মধ্যে একেবারেই আলাদা। বাবা-মা নেই। নিজের মত করে বড় হয়েছে বলেই কিনা জানি না, তবে ওর মনটা বড় নরম। যেখানেই কোন মানুষের বিপদ-আপদের কথা শুনবে, ও ছুটে যাবে।
বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২
সাধ একটি পারলৌকিক ডিম
দুপুরটা রঙচটা। বিবর্ণ। পাশের বাড়ির জানালায় ফটোকপি হয়ে ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে ফ্যাকাসে রোদ। তাতে মিশেছে এক চিলতে সোঁদাগন্ধ। উৎস জানা নেই। বারান্দার টবে পাতাবাহারের গাছ ঘুমে ক্লান্ত। ধোঁয়া উঠছে সাফিদের টিনের চূড়া ভেদ করে। নাকে ঢুকছে মুগ ডালের গন্ধ। আহ্! সাথে একটু বোম্বে মরিচ হলে মন্দ হতোনা।
সাধ একটি পারলৌকিক ডিম
মাঝে মাঝে অন্তত,সময় ডিঙিয়ে বনবাসে যেতে হয়
আমার এসব হয়না কিছুই
জলদুপুরে এক আঁজলা পানিতে ডুবিয়ে নাক
বেহুঁশ কাটাই রিক্ত প্রহর।
আমার এসব হয়না কিছুই
জলদুপুরে এক আঁজলা পানিতে ডুবিয়ে নাক
বেহুঁশ কাটাই রিক্ত প্রহর।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)